Sonar Bangla blog: আমার বাংলা

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
Showing posts with label আমার বাংলা. Show all posts
Showing posts with label আমার বাংলা. Show all posts

Monday, 16 December 2024

মেয়েদের নেফাস সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা।

মেয়েদের নেফাস সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা।

 


মেয়েদের নেফাস যা বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকে শুরু হয়। আর তাই বিবাহিত নারীদের নেফাস সম্পর্কিত অতি গোপনীয় মাসআলাগুলি জানা বুঝা ও শিখা খুবই জরুরী। কিন্তু ইসলামি জীবন যাপনে অভ্যস্ত নন এমন নারীরা জানার সুযোগ না থাকার কারণে কিংবা লজ্জা ভয়ের কারণে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাগুলি জানতে ও বুঝতে পারে না। 

 তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। 
নেফাস সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা

মাসআলা : ৭৫. বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার পর যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাকে শরীয়তের পরিভাষায় নেফাস বলে।
মাসআলা : ৭৬. নেফাসের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ দিন; তদপেক্ষা বেশি দিন রক্ত আসলে তা নেফাস নয় বরং তা ইস্তিহাযা।
মাসআলা : ৭৭. নেফাসের সর্বনিম্ন সময়ের কোন সীমা নেই। একদিন বা সামান্য সময়ের জন্যও উহা আসতে পারে। বরং যদি সন্তান জন্মের পর এক ফোঁটা রক্তও না আসে তাও সম্ভব।


মাসআলা : ৭৮. সন্তান প্রসবের পর সর্বাবস্থায় গোসল করা ওয়াজিব। রক্ত আসলে রক্ত বন্ধ হওয়ার পর আর রক্ত না আসলে নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার পর।
মাসআলা : ৭৯. এ সময় যদি গোসল করায় কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে অথবা গোসল করার সাহসই না হয় তবে গোসলের নিয়তে তায়াম্মুম করে নামায আদায় করবে। পরে হিম্মত আসার পর বা অসুস্থতার আশংকা কেটে গেলে গোসল করবে।


মাসআলা : ৮০. জমজ দুই শিশু প্রসব হলে প্রথম বাচ্চা থেকেই নেফাস গণনা করা হবে।
মাসআলা : ৮১. অস্ত্রপচার(সিজার) করে বাচ্চা বের করা হলে যদি লজ্জাস্থান থেকেই রক্ত আসে তবে তাকে নেফাসই মনেকরা হবে। অন্যথায় উহা নেফাস নয়।
মাসআলা : ৮২. নেফাসের রক্ত বন্ধ হয়ে হায়েয শুরু হওয়ার মাঝে কমপক্ষে শরয়ী নিয়ামানুযায়ী ১৫ দিন পবিত্র থাকা জরুরী। যদি ১৫ দিনের পূর্বেই হায়েয আসে তবে তা হায়েয নয় নয় বরং ইস্তিহাযা।
নেফাস অবস্থায় নামাজ
মাসআলা : ৮৩. নেফাসের সময় নামায মাফ হয়ে যায়। উহা আর আদায় বা কাযা কিছুই করা লাগে না।
মাসআলা : ৮৪. যখনই সময় ফরয হবে তখনই গোসল করে নামায শুরু করে দিবে। সময় থাকলে তা আদায় নামায হিসেবে গণ্য হবে নচেৎ কাযা হবে।
মাসআলা : ৮৫. নামাযের ওয়াক্ত সামান্য সময় বাকী থাকলে সুন্নত ছেড়ে দিয়ে ফরয পড়ে নিবে।


মাসআলা : ৮৬. ফরয এবং ওয়াজিব (যেমন বেতর) নামাযেরই কেবল কাযা আছে; সুন্নতের কাযা নেই। অবশ্য কারো ফজরের নামায কাযা হয়ে গেলে এবং সে (সূর্য) ডুবার পূর্বে উহার কাযা করলে ফজরের সুন্নতও পড়বে।
নেফাস অবস্থায় রোযা
মাসআলা : ৮৭. নেফাস অবস্থায় রোযা রাখবে না। তবে পবিত্র হওয়ার পর কাযা করা জরুরী।


মাসআলা : ৮৮. রোযা অবস্থায় নেফাস আসলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং পরে উহার কাযা আদায় আবশ্যক হবে।
মাসআলা : ৮৯. গোসল করতে পারে এতটুকু সময় থাকা জরুরী তবে গোসল করা জরুরী নয়। কারণ সুবহে সাদেকের পরে গোসল করলেও কোন ক্ষতি নেই।
মাসআলা : ৯০. গর্ভবতী রোযাদার মহিলার যদি রোযার কারণে বাচ্চার জীবনাশংকা হয় তবে রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয।
মাসআলা : ৯১. গর্ভবতী অথবা দুগ্ধপানকারিনী মহিলারা নিজের বা স্বীয় বাচ্চার জীবনশংকা থাকলে রোযা রাখবে না। পরবর্তী সময় কাযা করবে।
নেফাস শেষ হবার পর গোসলের নিয়ম
মাসআলা : ৯২. নেফাসের গোসলের ঐ একই পদ্ধতি যা পূর্বে হায়েযের গোসলে বর্ণিত হয়েছে।

মাসআলা : ৯৩. জানা গেছে যে, অনেক জায়গায় মহিলাগণ নেফাসের ৪০ দিনের অনেক পূর্বে রক্ত বন্ধ হয়ে গেলেও নেফাসের দিনগুলোর পূর্ণ ৪০ দিন পর্যন্ত নেফাসের অবস্থায়ই কাটায় এবং নিজের এবং নিজেকে নাপাক মনে করে। এটা একেবারেই অনুচিত। এভাবে থাকা নাজায়েয এবং হারাম। বরং যখনই রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে এবং পুনরায় আর রক্ত আসার সম্ভাবনা না থাকবে তখনই গোসল করে নামায শুরু করবে।


উৎস : নারীর শ্রেষ্ঠ উপহার বই থেকে সংগ্রহিত। 
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আশা করি মেয়েদের নেফাস সম্পর্কিত মাসআলা গুলি জেনে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এটি ইসলামিক জীবন যাপনে মুসলিম নারীদেরকে সাহায্য করবে। এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

Sunday, 15 December 2024

বীরত্বের প্রভাতি । 

বীরত্বের প্রভাতি । 

 


বাংলার বুকে জাগ্রত প্রভাতে,বীরের সন্তান, চলছে রণপথে।হৃদয়ে দাউ দাউ আগুন,স্বপ্নে আঁকা মুক্তির দিগন্ত।
পড়ার টেবিল ছেড়েপথে নামলো তাঁরা,প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে।শান্তির পতাকা হাতে,দাঁড়ায় সম্মুখে,বাংলার মাটিতে,সঞ্চারিত নতুন এক আলো।
তাদের সাহসী কণ্ঠে 
বাজে বিজয়ের সুর,অন্যায় বিরোধী প্রতিবাদ,দুর্বার গর্জন, স্বপ্নে উজ্জ্বলশান্তির আকাশ,প্রতিটি পদক্ষেপে জাগেদৃঢ় সংকল্পের প্রকাশ।

 তরুণদের এই সুরবাংলার হৃদয়ের ভাষা,তাদের বীরত্বে জ্বলে,আগামী দিনের দীপশিখা।তারা গড়বে ইতিহাস,গৌরবময় কাহিনী,বাংলার ভবিষ্যৎ,তাদের স্বপ্নের রহস্য।
বীরত্বের গাথায় জাগুকনতুন প্রভাত,স্বাধীনতা ও ন্যায়েরচূড়ান্ত অঙ্গীকারে।বাংলার আকাশে উড়ুকশান্তির শুভ্র পায়রা,তরুণদের সংগ্রামে, বিজয়ের মহিমাসঞ্চারিত হোক।

Wednesday, 11 December 2024

বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল, যার দলীয় সংবিধান বা গঠনতন্ত্র দলটির উদ্দেশ্য,

বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল, যার দলীয় সংবিধান বা গঠনতন্ত্র দলটির উদ্দেশ্য,

 


বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল, যার দলীয় সংবিধান বা গঠনতন্ত্র দলটির উদ্দেশ্য, কাঠামো, কার্যক্রম এবং আদর্শ নির্ধারণ করে। জামায়াতের দলীয় সংবিধানে দলটির প্রতিষ্ঠা, সদস্য গ্রহণের শর্ত, সাংগঠনিক কাঠামো, নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

এখানে বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী দলের সংবিধানের মূল অংশগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

১. দলীয় উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য

বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী মূলত ইসলামী আদর্শ ও শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এর কিছু মূল লক্ষ্য:

  • ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: দলটি একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হবে।
  • ইসলামী শিক্ষার প্রসার: জামায়াত জনগণের মধ্যে ইসলামী শিক্ষা প্রচার করে, যাতে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
  • ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠা: দলটি সমাজে সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
  • মুসলিম বিশ্বে ঐক্য সৃষ্টি: জামায়াত আন্তর্জাতিক স্তরে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

২. সাংগঠনিক কাঠামো

জামায়াতের গঠনতন্ত্রের মধ্যে দলের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংগঠনটি একটি পিরামিডাল কাঠামোয় কাজ করে এবং শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সদস্য পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব রয়েছে।

প্রধান শাখাগুলি:

  • আমির: জামায়াতের প্রধান নেতা, যিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রদান করেন।
  • সেক্রেটারি জেনারেল: দলের প্রশাসনিক প্রধান, যিনি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
  • শূরা পরিষদ: এটি দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পরিষদ, যা দলীয় নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
  • মুরব্বি পরিষদ: একটি পরামর্শক পরিষদ, যা দলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে পরামর্শ প্রদান করে।
  • জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি: দলের শাখাগুলি দেশের বিভিন্ন স্তরে সংগঠিত থাকে, যা স্থানীয় স্তরের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

৩. সদস্য গ্রহণের শর্তাবলী

জামায়াতের সদস্য হতে কিছু শর্ত রয়েছে:

  • সদস্য হতে চাইলে ব্যক্তি একজন মুসলমান হতে হবে।
  • তিনি জামায়াতের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং গঠনতন্ত্রকে মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
  • সদস্যদের নিয়মিতভাবে দলের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং দলীয় নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
  • সদস্যদের অবশ্যই ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে এবং ইসলামী আদর্শে জীবনযাপন করতে হবে।

৪. দলীয় কার্যক্রম

জামায়াত-ই-ইসলামী তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি নির্ধারণ করে থাকে। দলের কিছু প্রধান কার্যক্রম হল:

  • রাজনৈতিক কর্মসূচি: জামায়াত রাজনীতির মাধ্যমে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে। এটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং সংসদ ও স্থানীয় সরকারে প্রার্থী দেয়।
  • শিক্ষামূলক কর্মসূচি: জামায়াত মুসলিম জনগণের মধ্যে ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
  • সামাজিক সেবা: দলের সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক সেবা, যেমন, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দান সহায়তা ইত্যাদি প্রদান করে থাকে।

৫. নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া

জামায়াতের গঠনতন্ত্রে নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে বর্ণিত। শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া সাধারণত পরবর্তী শূরা পরিষদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। দলের আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন শূরা পরিষদের ভোটাভুটির মাধ্যমে।

৬. দলের নৈতিকতা ও বিধিনিষেধ

গঠনতন্ত্রে দলের সদস্যদের জন্য কিছু নৈতিক শর্তাবলী নির্ধারণ করা হয়:

  • সদস্যদের মধ্যে সৎ ও সঠিক আচরণ থাকতে হবে।
  • দলীয় আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে কখনো অবহেলা করা যাবে না।
  • দলের কাজে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌজন্য বজায় রাখতে হবে।
  • সকল সদস্যকে দলের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

৭. গঠনতন্ত্র সংশোধন প্রক্রিয়া

জামায়াতের গঠনতন্ত্রের যে কোনো সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য শূরা পরিষদে আলোচনা এবং সম্মতির প্রয়োজন হয়। তবে, এমন পরিবর্তন বা সংশোধন অবশ্যই দলের মৌলিক উদ্দেশ্য এবং ইসলামী আদর্শের প্রতি অনুগত থাকতে হবে।

৮. দলীয় পন্থা ও সম্পর্ক

জামায়াত তার কার্যক্রমে নির্দিষ্ট কিছু পন্থা ও আদর্শ অনুসরণ করে। এদের মধ্যে রাজনৈতিক আন্দোলন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রচার এবং আন্তর্জাতিক স্তরে মুসলিম ঐক্য গঠন অন্যতম। দলটি পাকিস্তানের জামায়াত-ই-ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে।

৯. বিতর্ক এবং সমালোচনা

বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী বিশেষভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা দলটির জন্য একটি বড় বিতর্কের বিষয়। তবে দলটি এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করে এবং নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা কখনো স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে ছিল না।

উপসংহার

বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল, যার গঠনতন্ত্র দলটির কার্যক্রম, আদর্শ এবং শাসন ব্যবস্থার রূপরেখা তৈরি করে। এর লক্ষ্য ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা, ইসলামী শিক্ষা প্রচার এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন। তবে, এর কার্যক্রম এবং গঠনতন্ত্র নিয়ে বিতর্ক এবং সমালোচনাও রয়েছে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কার্যক্রম নিয়ে।


বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ও দেশের রাজনৈতিক অবস্থা

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ও দেশের রাজনৈতিক অবস্থা

 


বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ও দেশের রাজনৈতিক অবস্থা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ও জটিল। দেশের রাজনীতি, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং সরকারব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তবর্তীকালিন সরকার বা তদূরবর্তী সময়ে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান, তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে চলে

১. অন্তবর্তীকালিন সরকার: প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব

অন্তবর্তীকালিন সরকার বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত তখন গঠন করা হয় যখন সাধারণ নির্বাচনের আগের সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না করে নির্বাচন পরিচালনা করতে চায় না। অন্তবর্তীকালিন সরকারের উদ্দেশ্য হলো একটি নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে পারে।

বাংলাদেশে ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং পরবর্তীকালে ২০১৮ সালের নির্বাচনও নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল, যেখানে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালিন সরকারের দাবি ওঠে।

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের মধ্যে ক্ষমতা দখল ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক এবং চ্যালেঞ্জ চলমান।

২. বর্তমান সরকারের অবস্থান

আওয়ামী লীগ, বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল, তাদের অবস্থান দৃঢ় রেখেছে যে, নির্বাচনে অনিয়ম বা পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই। তারা জোর দিয়ে বলছে যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো এবারও একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তাদের দাবি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে কাজ করছে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন।



৩. বিরোধী দলের অবস্থান

বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য ছোট দলগুলো তাদের দাবি তুলে ধরেছে যে, নির্বাচনের আগে একটি নিরপেক্ষ সরকারের গঠন অত্যন্ত জরুরি। তারা বলছে, একমাত্র একটি অন্তবর্তীকালিন সরকারই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে পারে। বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থা প্রকাশ করেছে, দাবি করছে যে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে এককভাবে বিজয়ী হওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করতে পারে। বিএনপি এবং তাদের সমর্থকরা ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করতে পারে অথবা ব্যাপক প্রতিবাদ ও আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

৪. নির্বাচন কমিশন: চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন নানা সময়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে, বিশেষ করে যখন অভিযোগ উঠেছে যে, নির্বাচন কমিশন সরকারের কাছে পক্ষপাতিত্ব করছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করা। তবে, বিরোধী দলগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে থাকে যে, কমিশন তাদের প্রতি নিরপেক্ষ নয়। এটি নির্বাচনী পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

৫. জনগণের মনোভাব ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি

বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে নানা উদ্বেগ ও হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করছে। তরুণ সমাজ বিশেষত রাজনৈতিক বিরোধীতা ও নীরবতার কারণে হতাশ হয়ে উঠেছে।

বিশেষ করে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, তা জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। তবে, সাধারণ জনগণ মূলত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আশা প্রকাশ করেছে, যাতে তাদের মতামত ও ইচ্ছা প্রতিফলিত হতে পারে।

৬. ভবিষ্যত সম্ভাবনা

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেহেতু অত্যন্ত জটিল, তাই ভবিষ্যত কী হতে যাচ্ছে তা বলা কঠিন। তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করা যেতে পারে:

  • নির্বাচন ও গণতন্ত্র: যদি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে। তবে, সরকারের কাছে এই প্রক্রিয়া কতটা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হবে, তা প্রশ্নবিদ্ধ।

  • বিরোধী দলের আন্দোলন: বিরোধী দলগুলো যদি নির্বাচনের আগে আন্দোলন তীব্র করে, তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে পারে এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

  • আন্তর্জাতিক চাপ: আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে, যা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে, আন্তর্জাতিক চাপ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কী প্রভাব ফেলবে, তা বলা কঠিন।

৭. উপসংহার

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং অনিশ্চিত। অন্তবর্তীকালিন সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাব, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নির্বাচনী সংকট দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন তুলে ধরছে। তবে, একমাত্র একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ পরিস্থিতি সমাধান হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে, যাতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় এবং দেশটি উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে।

For details 

Monday, 9 December 2024

২০২৪ সালে অনলাইন ইনকাম করার জন্য অনেক নতুন এবং উদীয়মান সুযোগ রয়েছে

২০২৪ সালে অনলাইন ইনকাম করার জন্য অনেক নতুন এবং উদীয়মান সুযোগ রয়েছে

 


২০২৪ সালে অনলাইন ইনকাম করার জন্য অনেক নতুন এবং উদীয়মান সুযোগ রয়েছে। নিচে কিছু সেরা উপায় তুলে ধরা হলো:

১. ফ্রীল্যান্সিং (Freelancing)

ফ্রীল্যান্সিং এক জনপ্রিয় উপায়, যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। ফ্রীল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer, Toptal ইত্যাদিতে কাজ পেতে পারেন। আপনি যে কোন ক্ষেত্রে দক্ষ, যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ট্রান্সলেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি, তাতে ফ্রীল্যান্স কাজ করতে পারেন।

২. ই-কমার্স (E-commerce) বা ড্রপশিপিং

ই-কমার্স বা ড্রপশিপিংয়ের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেমন Shopify, WooCommerce, Amazon, eBay বা Etsy ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করা যায়। ড্রপশিপিংয়ে, আপনি পণ্য স্টক না রেখেও বিক্রি করতে পারেন, সরবরাহকারী সরাসরি গ্রাহকের কাছে পণ্য পাঠায়।

৩. ব্লগিং (Blogging)

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার নলেজ শেয়ার করতে পারেন এবং বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা স্পন্সরড কন্টেন্টের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। যদি আপনার একটি ভালো পাঠকবৃন্দ থাকে, তবে গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন মাধ্যমের মাধ্যমে উপার্জন সম্ভব।

৪. ইউটিউব (YouTube)

ইউটিউব চ্যানেল শুরু করে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয় করা যেতে পারে। ইউটিউব মনিটাইজেশন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ, এবং পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয় সম্ভব। আপনি ট্রেন্ডি টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারেন।

৫. অনলাইন কোর্স (Online Courses)

আপনি যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষ হন, তবে অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলো Udemy, Teachable বা Coursera প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। এই কোর্সগুলো তৈরি করে আপনি প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করতে পারবেন।

৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি অন্যদের পণ্য বা সেবা প্রচার করতে পারেন এবং বিক্রি হলে কমিশন পেতে পারেন। Amazon Associates, ClickBank, ShareASale এর মতো প্ল্যাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির প্রচারণা চালাতে পারেন।

৭. অনলাইন টিউটরিং (Online Tutoring)

আপনি যদি পড়ানোতে দক্ষ হন, তবে অনলাইন টিউটরিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন সাবজেক্টে টিউশন দিতে পারেন। জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেমন Chegg, VIPKid, Tutor.com বা Skillshare আপনাকে টিউটর হিসেবে যুক্ত হতে সুযোগ দেয়।

৮. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

অনেক কোম্পানি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ পরিচালনার জন্য ফ্রীল্যান্স সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ করে থাকে। আপনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন এবং তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারেন।

৯. ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি SEO, SEM, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্ষেত্র এবং বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি এই সেবা খুঁজে।

১০. ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি

আপনি যদি ভালো ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফিতে দক্ষ হন, তবে আপনার ফটোগ্রাফ বা ভিডিও ক্লিপ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। Shutterstock, Adobe Stock, এবং iStock এর মতো প্ল্যাটফর্মে ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।

১১. অনলাইন কনসালটিং (Online Consulting)

যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ হন, তবে আপনি অনলাইন কনসালটিংও করতে পারেন। আপনি ব্যবসা, বিপণন, আইন, শিক্ষা, বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে পারেন।

এসব উপায়ের মধ্যে যে কোনটি বেছে নিয়ে আপনি ২০২৪ সালে অনলাইনে আয় শুরু করতে পারেন, তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সফল হওয়া সম্ভব।

Saturday, 7 December 2024

এ নাকি আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র?

এ নাকি আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র?


 

যেখানে অন্যায় এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালে ঝড়াতে হয় রক্ত?
যেখানে অধিকার চাইলে পিষে মরতে হয় অন্যায়কারীর যাতাকলে?
যেখানে নিজের দাবি আদায় করতে চাইলে হও তুমি রাজাকার?
যেখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পেতে হচ্ছে লাঞ্ছনা?
যেখানে দাবি আদায়ে নামতে হচ্ছে আবার রাজপথে?

আমি বাহান্নর আন্দোলন দেখিনি, কোটা আন্দোলন দেখেছি!
আমি বাহান্নর রাজপথ দেখিনি, তবে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝড়ানো রাজপথ দেখেছি!

বাহান্নর আন্দোলনে যারা নিপীড়ন করেছিল তাদের তোমরা বলেছিলে দেশের শত্রু, তবে আজ আমার বড় ভাই বোন দের রক্ত যারা জড়ালো তাদের তোমরা কি বলবে? তারা তো তোমরাই, তোমরাই তারা, তবে?

মনে রেখো তাদের মধ্যে একটি স্লোগান সবসময় বাজছে, “দাবি নিয়ে যখন নেমেছি, দাবি আদায় করেই ছাড়ব!”

মাতৃভূমি

মাতৃভূমি

 


লিখাটা লিখছিলাম ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রয়ারিতে। কিন্তু কোন জায়গায় প্রকাশ করার মত সাহস পাই নাই। হঠাৎ আজকে মনে হল লেখাটা পকাশ করি খারাপ ভাল তো লেখাতে থাকবেই।

‘ভালবাসা‌!’  হ্যা ভালবাসা, আর সবচেয়ে তীব্র ভালবাসাটি হওয়া উচিৎ মাতৃভূমির জন্য। যে মাতৃভূমি আমাদের বাঁচতে শেখায়, চলতে শেখায় তার জন্যই। যে মাতৃভূমি আমাদের পথ দেখায় তার জন্য। আর আমাদের মাতৃভূমির প্রতি কতটুকু ভালবাসা আছে আমরা কি তা জানি? আমরা অনেকে বিশ্বাস করি, যে তোমাকে যতটুকু ভালবাসে তাকে তুমি ততটুকু অথবা তার চেয়ে বেশি ভলবাসা দাও।

 

মাতৃভূমি আমাদের গভীরভাবে ভালবাসে। আর এই গভীরতা মাপা মনে হয় করো পক্ষেই সম্ভব না। কিন্তু আমরা তাকে কতটুকু ভালবাসি? এর উত্তর কি হতে পারে? আমরা কি ক্ষমতা, টাকাকেই বেশি ভালবাসি না? হ্যা আমরা ক্ষমতাকেই বেশি ভালবাসি। আমি বিশ্বাস করি ক্ষমতা দিয়ে মাতৃভূমির উন্নয়ন করা সম্ভব। কিন্তু আমরা তা কতটুকু করছি? আমার প্রশ্ন ক্ষমতাবানেদর কাছে, আপনারা কি অর্থ আয়ের(টাকা মারার) জন্য উন্নয়ন করছেন?  নাকি তা মন থেকে শুধু মাতৃভূমির জন্য করছেন? যদি তা মাতৃভূমির জন্যই করেন তবে কেন দেশের মানুষ কষ্ট পায় আপনাদের কথায় আর কর্মসূচিতে? আপনারা কেন ঐ সংসদে দেশের স্বার্থে কথা না বলে বিরোধি দলের বদনামে ব্যাস্ত থাকেন? যদি সত্যি আপনারা মাতৃভূমির কথাই ভাবেন তবে কেন একত্রে দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না, কেন করেন না? আপনারা একে অন্যকে শুধু দোষারপই করবেন তবে কখন কথা বলবেন দেশ কে নিয়ে, আর কখন দেশের জন্য কাজ করবেন?

 

তখন খুবই খারাপ লাগে যখন দেখি একজন সম্পাদক তার লেখাতে কোন একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলেছন। কিন্তু সাহেব আপনার মনে রাখা উচিৎ আপনি এখন আর কোন দলের না। আপনি আপনার মাতৃভূমির সন্তান। আপনার মায়ের জন্য ভাল কিছূ করুন। এর জন্য আপনার নিরপেক্ষ লেখাই কি যথেষ্ট কেআন টানা টানি না? শুধু সম্পাদক না,  ‘লেখক, ব্লগার, মিডিয়া প্রায় অনেককেই একটি দলীয় প্রভাব যুক্ত দেখা যায়। কিন্তু আমরা জনগণ চাই একজন লেখক যিনি হবেন দলীয় প্রভাব মুক্ত নিরপেক্ষ। জ্বী জনাব আপনাকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে কোন দলের জন্য না।

Friday, 6 December 2024

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস

 


বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, যা ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত উপমহাদেশের মুক্তির পর শুরু হয়। এর মধ্যে দুটি মূল ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ: ১৯৪৭ সালের ভারত-বিভাগ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম।

ডারউইনের মতে, মানবজাতি অন্যান্য জীবজন্তুর মতোই বিবর্তিত হয়ে এসেছে, এবং প্রাচীন জন্তুদের সঙ্গ থেকে ক্রমে মানুষের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন হোমিনিড (হোমো ইরেকটাস বা নেফেলিথ্যানথ্রোপাস) থেকে বর্তমান মানুষের প্রজাতি (হোমো স্যাপিয়েন্স) উদ্ভূত হয়েছে। এই বিবর্তন প্রক্রিয়াটি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘটেছে।

১. ভারত-বিভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা (১৯৪৭)

১৯৪৭ সালে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর ভারত এবং পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়। পাকিস্তান ছিল মূলত মুসলিম-majority অঞ্চল, যা দুটি ভাগে বিভক্ত—পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) এবং পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)। পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ভাষা, সংস্কৃতি, এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপ নেয়।

ডারউইনের মতে, মানবজাতি অন্যান্য জীবজন্তুর মতোই বিবর্তিত হয়ে এসেছে, এবং প্রাচীন জন্তুদের সঙ্গ থেকে ক্রমে মানুষের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন হোমিনিড (হোমো ইরেকটাস বা নেফেলিথ্যানথ্রোপাস) থেকে বর্তমান মানুষের প্রজাতি (হোমো স্যাপিয়েন্স) উদ্ভূত হয়েছে। এই বিবর্তন প্রক্রিয়াটি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘটেছে।

২. ভাষা আন্দোলন (১৯৫২)

পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি নিয়ে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন সংঘটিত হয়। পাকিস্তান সরকার উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়, যা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২-তে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন ভাষা আন্দোলনকারী শহীদ হন, যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

ডারউইনের মতে, মানবজাতি অন্যান্য জীবজন্তুর মতোই বিবর্তিত হয়ে এসেছে, এবং প্রাচীন জন্তুদের সঙ্গ থেকে ক্রমে মানুষের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন হোমিনিড (হোমো ইরেকটাস বা নেফেলিথ্যানথ্রোপাস) থেকে বর্তমান মানুষের প্রজাতি (হোমো স্যাপিয়েন্স) উদ্ভূত হয়েছে। এই বিবর্তন প্রক্রিয়াটি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘটেছে।

৩. ৬ দফা আন্দোলন (১৯৬৬)

১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষমতা বিভাজন এবং পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার দাবি করে ৬ দফা আন্দোলন শুরু করেন। এর মাধ্যমে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের অধিকারের কথা তুলে ধরেন এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানান। এই আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে।

ডারউইনের মতে, মানবজাতি অন্যান্য জীবজন্তুর মতোই বিবর্তিত হয়ে এসেছে, এবং প্রাচীন জন্তুদের সঙ্গ থেকে ক্রমে মানুষের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন হোমিনিড (হোমো ইরেকটাস বা নেফেলিথ্যানথ্রোপাস) থেকে বর্তমান মানুষের প্রজাতি (হোমো স্যাপিয়েন্স) উদ্ভূত হয়েছে। এই বিবর্তন প্রক্রিয়াটি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘটেছে

৪. মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা (১৯৭১)

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে) বড় বিজয় অর্জন করে, কিন্তু পাকিস্তান সরকার তাদের জয় স্বীকার না করে। ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে আক্রমণ করে, যা "Operation Searchlight" নামে পরিচিত। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন, এবং দেশব্যাপী সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ, ছাত্র, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ অংশ নেন। আন্তর্জাতিক সহায়তা বিশেষত ভারতীয় বাহিনীর সহায়তায়, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

ডারউইনের মতে, মানবজাতি অন্যান্য জীবজন্তুর মতোই বিবর্তিত হয়ে এসেছে, এবং প্রাচীন জন্তুদের সঙ্গ থেকে ক্রমে মানুষের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন হোমিনিড (হোমো ইরেকটাস বা নেফেলিথ্যানথ্রোপাস) থেকে বর্তমান মানুষের প্রজাতি (হোমো স্যাপিয়েন্স) উদ্ভূত হয়েছে। এই বিবর্তন প্রক্রিয়াটি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘটেছে।

৫. স্বাধীনতা ঘোষণা ও পরবর্তী উন্নয়ন

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, বিজয় দিবস হিসেবে স্মরণীয়, যখন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়, যদিও তা যুদ্ধের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন রাষ্ট্র গঠনের কাজ শুরু হয়, যদিও প্রথমদিকে দেশটি নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম একটি জাতীয় চেতনার উদাহরণ এবং এক বীরত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা পৃথিবীজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনগুলোর মধ্যে অন্যতম।